গলায় ফাঁস দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের সাদিয়া তাবাসসুম নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তিনি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের বিষমপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মাহবুব রশিদ ফারুকের মেয়ে।

মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুরে তার গ্রামের বাড়িতে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে এই তথ্য জানা যায়।

আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সোহেল কবির বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে জেনেছি। এটা খুব হতাশাজনক। অনেক আগে থেকেই সাদিয়া মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। ওর একটা প্রেসক্রিপশনে দেখেছিলাম। এজন্য সাদিয়ার মা চিকিৎসার জন্য তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। এখন কিভাবে, কী কারণে আত্মহত্যা করেছে তা সঠিক বলতে পারছি না।

আরও পড়ুন… একদিনের ছুটি বেড়ে, রাবির ক্লাস শুরু ১৬ মে

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুর আগে সাদিয়া তার বাবার ডায়েরিতে লিখেছে- ‘চুরাবালির মতো ডিপ্রেশন, বেড়েই যাচ্ছে, মুক্তির পথ নেই, গ্রাস করে নিচ্ছে জীবন, মেনে নিতে পারছি না।’

জানা যায়, মঙ্গলবার ওই শিক্ষার্থীর বাবা একটি জানাযায় অংশগ্রহণের জন্য যান। সেসময় তার মা’ও বাড়িতে ছিলেন না। এই সুযোগে সে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দেন। দীর্ঘক্ষণ সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান পরিবারের লোকজন। পরে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।